ঢাকা, ৯ মার্চ (কুইকপোস্ট নিউজ) – অ্যাপল স্মার্টওয়াচের রাজত্ব আরও শক্ত করেছে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ব বাজারের ৫০% দখল করে নিয়ে। মঙ্গলবার প্রকাশিত কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ২৮% থেকে এই লাফ অ্যাপল ওয়াচের জন্য একটি মাইলফলক। গত শরতে লঞ্চ হওয়া সিরিজ ১০ এবং আল্ট্রা ৩ এর দুর্দান্ত বিক্রির জন্য এই সাফল্য এসেছে। যখন ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি -০.১% এ নেমেছে, তখন অ্যাপলের এই উত্থান অর্থনৈতিক প্রতিকূলতাকে উড়িয়ে দিয়েছে। কাউন্টারপয়েন্ট জানায়, প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপল ২৮.৫ মিলিয়ন ইউনিট সরবরাহ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১২% বেশি। এই বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে রক্তে অক্সিজেন মাপার ফিচার এবং নতুন ওয়াচওএস ১১। বিশ্লেষক সুজিওং লিম বলেন, “অ্যাপল ওয়াচের ৫০% শেয়ার কোনো কাকতালীয় নয়। আমেরিকায় ৮০% আইফোন ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করেন, আর প্রিমিয়াম দামে আয় ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।” প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ে ১৪% এবং স্যামসাং ১১% শেয়ারে পিছিয়ে রয়েছে। চীনে ২০২৪ সালের শেষে ২৯% চালান বেড়েছে, তবু অ্যাপলের আধিপত্য অটুট।
- যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭% শুল্কে বাংলাদেশের রপ্তানি হুমকির মুখে
- সেনাবাহিনী-রাজনীতির দোলাচলে বাংলাদেশ: আবারও কি মাইনাস ফর্মুলার পথে?
এই সাফল্য অর্থনীতিতে ঝড় তুলেছে—অ্যাপলের শেয়ার মঙ্গলবার ২.১% বেড়ে ২২৫ ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালে ৬০% আয়ের শেয়ার থেকে এখন আরও বেশি লাভ এসেছে, বিশেষ করে ৭৯৯ ডলারের আল্ট্রা ৩ গড় বিক্রয় মূল্য ৮% বাড়িয়েছে। বার্নস্টেইনের বিশ্লেষক টনি সাক্কোনাঘি বলেন, “এটি অ্যাপলের জন্য সোনার ডিম পাড়া হাঁস।” ২০২৫ সালে স্মার্টওয়াচ শিল্পের মূল্য ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে অ্যাপল ওয়াচের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে—ঢাকার গ্যাজেট দোকানগুলোতে সিরিজ ১০ এর চাহিদা গত তিন মাসে ২০% বেড়েছে। আমেরিকায় স্মার্টওয়াচ ব্যবহারকারী ১৫% বেড়ে ৩২ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ইসিজি মনিটরিং ও পড়ে যাওয়া শনাক্তকরণের মতো ফিচার ৭০% ক্রেতাকে স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য আকৃষ্ট করেছে। এক্সে ব্যবহারকারী সারাহ ক্লাইন লিখেছেন, “এটি শুধু ঘড়ি নয়, জীবন রক্ষাকারী।” বাংলাদেশে ব্যবহারকারীরা বলছেন, “এটি দামি, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য বিনিয়োগ।” অ্যাপলের ইকোসিস্টেম—আইফোনের সঙ্গে ওয়াচের সমন্বয়—এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। ইউরোপে এখনও এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ভারতে ৩% বিক্রি বেড়েছে, যা অ্যাপলের বৈশ্বিক প্রভাব বাড়াচ্ছে। হুয়াওয়ে ও স্যামসাং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে, কিন্তু অ্যাপলের শক্তি অটল। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্লুকোজ মনিটরিং ফিচারসহ সিরিজ ১১ শেয়ার ৫৫% ছাড়াতে পারে। স্মার্টওয়াচ ট্রেন্ড ২০২৫ সালে ২২০ মিলিয়ন ইউনিট চালানের পথে—অ্যাপল এই দৌড়ে এগিয়ে।