কুইকপোস্ট নিউজ | ৮ মার্চ, ২০২৫ | লন্ডন

যুক্তরাজ্যে নগদ অর্থের প্রবাহ বিপর্যয়ের মুখে—এটিএম মেশিনগুলো উধাও হচ্ছে, ব্যাংক শাখাগুলো তালা ঝুলছে, এবং ২০২৫ সালের শুরুতেই লাখো মানুষ নগদহীন জীবনের দ্বারপ্রান্তে। হুইচ? জানাচ্ছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৫০০টি এটিএম বন্ধ হয়েছে এবং জানুয়ারি থেকে ২০০টি ব্যাংক শাখা গায়েব। এই সংকট ব্রেক্সিটের ৫৭০ কোটি পাউন্ডের ক্ষতির চেয়েও ভয়াবহ বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

যুক্তরাজ্যে এটিএম অন্ধকারে
হাই স্ট্রিট থেকে এটিএমগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বিবিসি নিউজ জানায়, বার্কলেস ও লয়েডস গত ডিসেম্বর থেকে ৩০০টি মেশিন বন্ধ করেছে, ডিজিটাল লেনদেনের দোহাই দিয়ে। গ্রামীণ এলাকা যেমন কর্নওয়ালে ২০২৩ সাল থেকে ৪০% এটিএম কমেছে। এক্সে ‘ইউকে নগদ সংকট ২০২৫’ ট্রেন্ডে পেনশনভোগীরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন: “নগদ না থাকলে জীবন শেষ।” কিছু কাউন্টারে দৈনিক ৫০ পাউন্ডের সীমা বেঁধে দেওয়ায় দুর্বলরা বিপাকে।

ব্যাংক অ্যাক্সেস কমছে: জাতি অসহায়?
ব্যাংকগুলো থামছে না—এইচএসবিসি জুনের মধ্যে আরও ৫০টি শাখা বন্ধ করছে। “নগদ মরে গেছে,” বলে এক ব্যাংক কর্মকর্তা হেসেছেন, কিন্তু ৫০ লাখ ব্রিটিশ—প্রাপ্তবয়স্কদের ১০%—এখনও নগদের ওপর নির্ভরশীল। দোকানিরা বলছেন, নগদ না থাকায় বিক্রি কমছে। পোস্ট অফিস ‘হাব’গুলো বিকল্প হতে পারত, কিন্তু তহবিল শুকিয়ে ১০০০টি বন্ধের আশঙ্কা। “ব্যাংক অ্যাক্সেস কমানো বিপর্যয়,” বললেন হুইচ?-এর রোসিও কনচা।

এরপর কী: লড়াই না হার?
সংসদ সদস্যরা পদক্ষেপ চান—লেবার পার্টি আগামী সপ্তাহে ‘নগদ গ্যারান্টি’ বিল আনছে। “ব্যাংক আমাদের ফেলে দিতে পারে না,” বললেন লিডসের এক দাদি। ২০২৩ থেকে নগদ ব্যবহার ১৫% কমলেও, এভাবে তাড়াহুড়ো করে তুলে দেওয়া দরিদ্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। বৈশ্বিক সংকট দেখুন—পোল্যান্ড অস্ত্রে ভরছে, বাংলাদেশ নীরব। কুইকপোস্ট নিউজ এই নগদ সংগ্রামের খবর রাখছে—চোখ রাখুন।