ঢাকা, ৮ মার্চ (কুইকপোস্ট নিউজ) – গাজা পুনর্গঠনের জন্য আরব সমর্থিত ৫৩ বিলিয়ন ডলারের (৪১ বিলিয়ন পাউন্ড) পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে ইউরোপের প্রধান দেশগুলো। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিশরের প্রস্তাবকে ‘বাস্তবসম্মত’ বলে অভিহিত করেছেন। এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত না করে পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ পরিকল্পনা—যেখানে তিনি গাজাকে দখল করে বিলাসবহুল রিসোর্টে রূপান্তরের কথা বলেছেন—ইউরোপের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ইউরোপের সমর্থন, আমেরিকার প্রত্যাখ্যান
মিশরের পরিকল্পনা গত মঙ্গলবার কায়রোতে আরব লীগের জরুরি সম্মেলনে গৃহীত হয়। আল জাজিরা জানায়, এটি গাজার ধ্বংসস্তূপে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্রুত ও টেকসই সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সৌদি আরবের জেদ্দায় বলেন, “এটি গাজার জন্য একটি বাস্তব পথ।” কিন্তু ট্রাম্প ও ইসরাইল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি গাজার ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে ‘রিভিয়েরা’ বানাবেন, যাকে অনেকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ক্ষোভ
ট্রাম্পের দাবির পর একটি এআই ভিডিওতে গাজায় তার সোনালি মূর্তি ও বিলাসবহুল হোটেল দেখানো হয়, যা এক্সে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ও আরব নেতারা এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্কাই নিউজ জানায়, ইউরোপীয় মন্ত্রীরা হামাসকে গাজার শাসন থেকে সরিয়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কারের পক্ষে। তবে ইসরাইল বলছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি না হলে কোনো আলোচনা নয়।
কী হবে গাজার ভবিষ্যৎ?
এই পরিকল্পনায় তিন ধাপে পাঁচ বছরে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে হামাসের ভূমিকা ও তহবিল নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে। গাজার সংকট নিয়ে আলোচনা তীব্র হচ্ছে—ইউরোপের সমর্থন কি গাজার জন্য আশা জাগাবে, নাকি ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ নেবে?