ঢাকা, ৮ মার্চ (কুইকপোস্ট নিউজ)
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশে নারীদের অর্জন উদযাপনের পাশাপাশি নিরাপত্তা ও সমতার দাবি জোরালো হয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর নারী ও মেয়েদের ওপর সহিংসতা বেড়েছে, যা এবারের দিবসে প্রধান আলোচনার বিষয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানাচ্ছে, গত বছর ২,৫২৫ জন নারী ও মেয়ে সহিংসতার শিকার হয়েছে, এবং ২০২৫-এর প্রথম দুই মাসেই ৩৯৪টি ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে।
নারীদের উপর সহিংসতার চিত্র
মহিলা পরিষদের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ১,০৩৬টি শিশুসহ ৪৮৬ জন নারী ও মেয়ে খুন হয়েছে। এ বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ৯৪টি অ্যাসিড হামলা ও ৯টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দ্য ডেইলি স্টার রিপোর্টে বলা হয়, এই পরিসংখ্যান শুধু রিপোর্ট হওয়া ঘটনার—অনেক ক্ষেত্রে নারীরা নীরবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এক্সে অনেকে লিখেছেন, “নারী দিবসে উৎসব নয়, নিরাপত্তা চাই।”
ক্ষুদ্র পরিসরে পালন
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সরকারি আয়োজন না থাকলেও, বিভিন্ন সংগঠন ও নারী নেত্রীরা ঢাকায় ছোট পরিসরে আলোচনা ও সমাবেশ করেছে। ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকা গতকাল একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নারী নেত্রীদের সম্মান জানিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশা রয়েছে—একজন নারী কর্মী বলেন, “আমাদের অধিকারের কথা বলার জায়গাটাই কমে গেছে।”
ভবিষ্যৎ কী?
নারীদের নিরাপত্তা ও সমতার জন্য নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলন জোরদার করার দাবি উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা দূর না হলে পরিবর্তন আসবে না। এই দিবস কি শুধুই প্রতীকী থাকবে, নাকি সত্যিকারের পরিবর্তন আনবে—সেটাই এখন প্রশ্ন।