ঢাকা, ৯ মার্চ (কুইকপোস্ট নিউজ)
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর ১.৮৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংক এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার এই পরিশোধের পর রিজার্ভে বড় ধাক্কা লেগেছে, যা গত জানুয়ারিতে ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার ছিল। আকু বিল প্রতি দুই মাসে পরিশোধ করতে হয়, এবং এবারের পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৫% বেশি। দ্য ডেইলি স্টার জানায়, ২০২৪ সালে আকুর গড় বিল ছিল ১.৬ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু জ্বালানি ও কাঁচামাল আমদানি বৃদ্ধির কারণে এটি বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স ২.১ বিলিয়ন ডলার এলেও রপ্তানি আয় ৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৪.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ২০২২ সালের আগস্টের ৪৮ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ থেকে প্রায় ৫৯% কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য লাল সংকেত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে এখন মাত্র ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঝুঁকিপূর্ণ।
” আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশকে ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ধরে রাখতে হবে, যা এখন দূরের স্বপ্ন মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণের কিস্তি এসেছে, কিন্তু তা রিজার্ভ বাড়াতে তেমন সাহায্য করেনি। এক্সে ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ ঝাড়ছেন—“রিজার্ভ এভাবে কমলে ডলার সংকট আরও বাড়বে।” বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে জ্বালানি আমদানিতে ৩.২ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০% বেশি। এদিকে, গার্মেন্টস রপ্তানি থেকে আয় গত তিন মাসে ৫% কমেছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষক আহসান এইচ মনসুর বলেন, “রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রবাসীদের প্রণোদনা দরকার, নইলে রিজার্ভ আরও নামবে।” অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে—বাংলাদেশ কি এই ধাক্কা সামলাতে পারবে?